স্পোর্টস ডেস্ক:: গলে বৃষ্টির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ১৩০.২ ওভারে চার উইকেটে ৪২৩ রান করলো। বেরসিক বৃষ্টিতে বেশ কিছু সময় খেলা বন্ধ ছিলো। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে এবার বৃষ্টির মতো উইকেট পড়তে থাকল বাংলাদেশ দলের। ১৬৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের পর মুশফিক সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন লিটন দাস। দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫১ ওভারে নয় উইকেটে ৪৮৪ রান।
তিন উইকেটে ২৯২ রান নিয়েআজ দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সকালের সেশনে এক উইকেট হারায়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর উইকেটে আসা লিটন দাসকে নিয়ে ছুটতে থাকেন মুশফিক। দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশ পুরোটা নিজেদের করে নেয়। শেষ সেশনে বৃষ্টির পর বাংলাদেশের উইকেট বৃষ্টির মতোই পড়তে থাকে।
গলে জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে, অল্পের জন্য মিস হয়েছে আরেকটি। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর পর মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চরি হাঁকিয়েছেন। অর্ধশতকের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দুই সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ‘ডাবল’ সেঞ্চুরি করে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুই সেঞ্চুরিয়ান। সকালে দ্রুত বিজয়, সাদমান ও মুমিনুলের বিদায়ের পর বাকী দিনটা নিজেদের করে নেন শান্ত ও মুশফিক।
সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ১৭৬ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন। পাঁচ বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন সেঞ্চুরির ইনিংসটি। টেস্ট ক্রিকেটে এটি মুশফিকের ১২তম সেঞ্চুরি। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪৫ রান তুলতেই একে একে ফিরে যান বিজয়, সাদমান ও মুমিনুলরা। চতুর্থ উইকেটে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ডাকে শুরু করেছে। অর্ধশতকের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন বিজয়।
বিজয়ের পর সাজঘরের পথ ধরেছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। ১৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে করেছেন ১৪ রান। অর্ধশতকের আগেই প্যাভেলিয়নে ফিরেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। এরপরই তিনে নামা মুমিনুল ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন মুমিনুল হক। চারটি চারে ৩৩ বলে ২৯ রান করেছেন তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন শান্ত-মুশফিক। দু’জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে গলে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। ২৬৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মুশফিক-শান্ত। ইনিংসের ৯৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩০৯ রানে শান্তর বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৪৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন ২৭৯ বলে। দেড়শো ছুঁই ছুঁই ইনিংসে ১৫টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিলো।
পঞ্ম উইকেটে মুশফিক ও লিটন ১৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যেতে থাকেন। ইনিংসের ১৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪৫৮ রানে মুশফিকের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে এই সিনিয়র ক্রিকেটার খেলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৩৫০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে করেন ১৬৩ রান। তার বিদায়ের পরই লিটন দাসও ফিরে যান সাজঘরে। ১০ রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগা ছুঁতে পারেননি তিনি। সেঞ্চুরিয়ানের মুশির বিদায়ের পর কোনো রান সংগ্রহের আগেই ১৪২তম ওভারের চতুর্থ বলে ষষ্ট উইকেটে বিদায় নেন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১২৩ বলে করেন ৯০ রান। এরপর একে একে ৮ রানে অনীক, ৬ রানে নাঈম হাসান, ১১ রানে তাইজুল ফিরেন প্যাভেলিয়নে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষিক্ত থারিন্দু, আসিথা ও মিলান রথনায়েকে ৩টি করে উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০