স্পোর্টস ডেস্ক:: বিসিবির নির্বাচনকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচন নিয়ে ফিক্সিং হচ্ছে অভিযোগ করে মন্তব্য করেছেন, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করা হোক, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং নিয়ে কথা বলা হোক।
বিসিবির নির্বাচন ৬ অক্টোবর। নানা নাটকীয়তা, হুমকি-ধামকি এবং সমঝোতার চেষ্টার পর তামিম ইকবাল পন্থী প্যানেল নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে বুধবার সকালে। এরপরই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের কালো অধ্যায়। আপনারা ক্রিকেটে ফিক্সিং নিয়ে কথা বলেন, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন।
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে তেলেসমাতি চলছেই। সভাপতি প্রার্থী হওয়ার আশায় নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।বুধবার সকালেই তার পক্ষে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিসিবির নির্বাচনে সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তামিমের পুরো প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। তামিমের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের আগের দিন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের রিট আবেদন করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ৬ অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচনে ১৫টি বিতর্কিত ক্লাবের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করে।
সমঝোতা, পরিচালক পদ নিয়ে ভাগাভাগি আর নানা জল ঘোলার পর শেষ পর্যন্ত তামিম সরে দাঁড়ালেন। বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তামিম ইকবাল। নাটকীয় এই নির্বাচনে শেষ সময়ে এসে পরিচালক পদে যোগ দেন আরেক সাবেক সভাপতি ও অধিনায়ক ফারুক আহমদ। ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জল ঢেলে দিলেন তামিম।
বুধবার বিসিবি কার্যালয়ে গিয়ে তামিম নিজেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন রফিকুল ইসলাম বাবু, মাসুদুজ্জামান, ইব্রাহিম আহমেদ, মীর হেলাল, সৈয়দ বোরহান হোসেন পাপ্পু ও ইসরাফিল খসরু। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল নেতৃত্বাধীন প্যানেলের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই তারা সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। আজ দুপুর ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে। অনুমোদিত প্রার্থীরা একই দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০