স্পোর্টস ডেস্ক:: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে গোল উৎসব করলো বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে দলটি। বিশ্বের সেরা ক্লাবদের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে জিতেছে ১০-০ ব্যবধানে। বায়ার্নের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে অকল্যান্ড সিটি। ১০ গোল দিয়েও কোনো গোল না খাওয়ার ”রেকর্ড’ গড়েছে বায়ার্ন। সেই সঙ্গে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে মাঠ ছেড়ে বায়ার্ন।
ওশেনিয়ান ক্লাবটিকে ইউরোপের ফুটবলের গরম দেখিয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। নিউজিল্যান্ডের ক্লাবটিকে পেয়ে গোল উৎসবে মেতে উঠেছিলো থমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালারা। প্রতিপক্ষের জালে তারা গুনে গুনে দশবার বল পাঠিয়েছেন। অসহায়ের মতো চেয়ে থাকা ছাড়া যেনো কিছুই করার ছিলো না অকল্যান্ড সিটির।
আজ রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাতিতে টিকিউএল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ১০ গোলের রেকর্ডের ম্যাচটি। যার ৬টি গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয়ার্ধে করেছে আরো চার গোল।
বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জামাল মুসিয়ালা করেন হ্যাটট্রিক, থমাস মুলার, কিংসলে কোম্যান, মিকায়েল ওলিসে করেন ২টি করে গোল। ১টি করেন সাচা বোয়ি। হ্যাটট্রিক করা জামাল মুসিয়ালা ৬১তম মিনিটে হ্যারি কেইনের পরিবর্তে মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটে গোলের সূচনা করেন কিংসলে কোম্যান। ১৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন সাচা বোয়ি। মিকায়েল ওলিসে গোলের সূচনা করেন ২০তম মিনিটে। কিংসলে কোম্যান ২১তম মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল।
থমাস মুলার ৪৫ তম মিনিটে করেন ৫ম গোল। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ৪৫+৩ মিনিটে ৬ষ্ঠ গোল করেন মিকায়েল ওলিসে। দ্বিতীয়ার্ধে ওলিসের পরিবর্তে মাঠে নামেন লেনার্ট কার্ল। কিংসলে কোম্যানকেও তুলে নেন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। পরিবর্তে মাঠে নামেন সার্জি জিনাব্রি।৬১তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালা মাঠে নামার পর ম্যাচটাই যেন হয়ে গেরো তার। ৬৭ মিনিটে নিজের প্রথম, দলের সপ্তম, ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং ৮৪ মিনিটে তৃতীয় গোল করে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। দলের গোল তখন ৯টি। ৮৯ মিনিটে শেষ গোলটি করেন থমাস মুলার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০