স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহর জায়গা পাওয়া নিয়ে কত জলঘোলা হয়েছে। তাঁকে দলে অন্তর্ভূক্তির জন্য এরপর আন্দোলনও করেছেন সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ফিরে রিয়াদ বুঝিয়ে দিয়েছেন– তিনি ফুরিয়ে যাননি।
বিশ্বকাপেও ম্যাচের শেষদিকে নেমে মাহমুদউল্লাহ যথাক্রমে দুই ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ৪১ ও ৪৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হয়ে তিনি চলতি বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরি করেছেন। তাতে মান বেঁচেছে টাইগারদের। ১১১ রানের ইনিংস খেলেছেন রিয়াদ। অথচ তার বিশ্বকাপ দলেই থাকা নিয়ে ছিল বড় সংশয়!
এই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন রিয়াদ। এরপর হোম ও অ্যাওয়েতে আয়ারল্যান্ড সিরিজে, আফগানিস্তান সিরিজ, এশিয়া কাপে কোথাও সুযোগ পাননি তিনি। মাস চারেক পর জাতীয় দলে ফিরলেও মাঝের সময়টা রিয়াদ কাটিয়েছেন নিজের মত। মিরপুরে একাকী অনুশীলনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া রিয়াদ শেষ পর্যন্ত টিকিট পান ওয়ানডে বিশ্বকাপের। আর এই বিশ্বকাপের মঞ্চেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে জবাবটা দিলেন তিনি।
এর আগে আন্তর্জাতিক সিরিজ-টুর্নামেন্টে রিয়াদকে না রাখার কারণ হিসেবে বিসিবি নির্বাচকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্রামে পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। সেই বিশ্রাম এতোটোই লম্বা ছিল যে তাকে চারটি সিরিজে বাইরে থাকতে হয়। যার মধ্যে ছিল এশিয়া কাপও। নিজে এমন বিশ্রাম প্রত্যাশা করেছিলেন কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে রিয়াদ সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন।
রিয়াদ বলেন, ‘নাহ.. বিশ্রাম মনে হয় একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল (হাসি)…এটা তো আমার কন্ট্রোলে কিছু নেই। তাদের সিদ্ধান্ত। দলের সিদ্ধান্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা দলের জন্য ভালো মনে করেছে, সেটা করেছেন। আমার যে কাজটা সততা দিয়ে করতে পারি, দ্যাট ইজ গুড এনাফ ফর মি। দলের জন্যও। এটাই সব সময় চেষ্টা ছিল ও থাকবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post