নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সবার গাঁয়েই সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি। কারো হাতে ছোট কাগজে লেখা মারশাফী প্রতি ভালোবাসা, কারোটাতে আবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ। সবচেয়ে বড় ব্যানারটাতে লেখা ‘আমরা ছায়াতলের শিশু’ নিচে ভালোবাসার প্রতীক ও এরপরই সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাম।
দেখে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সেরই কোনো এক আয়োজন। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে মঙ্গলবার দুপুরে চলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ। মাশরাফী-সাকিবদের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন অনেক দর্শক। তাদের মধ্যে এক প্রান্তে ছিল যেন কচিকাঁচার মেলা।
পুরো ম্যাচজুড়ে সিলেটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গিয়েছিল এই শিশুরা। শান্ত-মুরসদের বাউন্ডারিতে কিংবা কখনো আমির-রাজাদের উইকেট শিকারে, এই শিশুরা গলা ফাটাচ্ছিল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষ থেকে ম্যাচ শেষে জানানো হয়েছে বিস্তারিতও।
এই শিশুরা মূলত সুবিধাবঞ্চিত। কারো বাবা নেই, কারো মা নেই। ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের দেখাশুনা করে। সিলেট স্ট্রাইকার্স তাদের মাধ্যমে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এসেছে মাঠে। প্রায় দুইশ শিশুকে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
প্রথমবারের মতো মাঠে মাশরাফী-সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মিরাজদের মতো তারকাদের ম্যাচ দেখতে পেরেও বেশ উচ্ছ্বসিত সেই সব শিশুরা। এর মধ্যে একজন সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ফরচুন বরিশাল ম্যাচের সেরা ফ্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন ম্যাচ সেরা নাজমুল হোসেন শান্তর স্বাক্ষরিত উপহারও। একইসাথে সিলেট অধিনায়ক মাশরাফীর সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগও।
এবার নবাগত দল হিসেবে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আসরের শুরু থেকে গোছালো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কথার সাথে কাজের মিল বা মাঠের বাইরে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডে সাড়া ফেলেছে। এছাড়া মাঠের খেলায়ও আধিপত্যের ছাপ দলটির। আসরে সাত ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই জিতে সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের শীর্ষে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post