স্পোর্টস ডেস্ক:: নিজেদের হোম ভেন্যু শারজাহতে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলো আফগানিস্তান। শেষ ৬ বলে ৫ রানের সমীকরণ মিলিয়ে এক বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে টি-২০ সিরিজে হারিয়ে দিয়েছে রশিদ খানের দল। ব্যাট হাতে ইমাদ ওয়াসিমের লড়াইও কাজে আসেনি।
সন্ত্রাসে জর্জরিত আফগানিস্তান নিজেদের ঘরে খেলতে পারেনি। শারজাহকে তাই নিজেদের হোম ভেন্যু বানিয়েছে দলটি। সেখানেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ জিতেছে রশিদের দল। আইসিসি টি-২০ রেঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে উৎসবের আনন্দে ভাসছে আফগানরা।
ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া আফগানিস্তান নিজেদের উন্নতি জানানা দিচ্ছে বেশ ভালো ভাবেই। জেতা শুরু করেছে বড় দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ। যদিও পাকিস্তানের কয়েক তারকা ক্রিকেটার খেলছেন না টি-২০ সিরিজটিতে। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা না খেললেও পিসিবি বেশ শক্তিশালী দলই পাঠিয়ে ছিলো শারজাহ’তে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানদের আফগানিস্তান। নিজেদের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো দলটি।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানকে মাত্র ১৩০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান নিজেদের ইতিহাস গড়ার দিনে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। সাত উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে রশিদ খানের দল।
১৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানিস্তান শুরুটা করে ওপেনার উসমান গণীকে হারিয়ে। দলীয় ৩০ রানে ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরে যান এই ওপেনার। আরেক ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জর্দানকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়েন।
ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে রহমানুল্লাহ গুরবাজ যখন সাজঘরে ফিরেন, পাকিস্তান তখন ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। দলীয় ৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানরা। দুই চার ও এক ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৪ রান করেন রহমানুল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জর্ডান ৩১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাঝ খানে তিন চারে ৪০ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন ইব্রাহিম জর্ডান।
দুই চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নাজিবুল্লাহ জর্ডান। ৯ বলে এক ছক্কায় ১৪ রানে তার সঙ্গী হন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিন উইকেট হারিয়ে এক বল হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নেয় আফগানরা।
পাকিস্তানের হয়ে জামান খান ও ইসানুল্লাহ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ইমাদ ওয়াসিমের হাফ সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৩১ রানে থামে দলটি। শাদাব খানের দলের শুরুটা হয় উইকেট হারিয়ে। দলের রানের খাতা খোলার আগেই শুন্য রানে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার সিয়াম আয়ুব।
ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেন ফজল হক ফারুকী। দ্বিতীয় বলে সিয়ামকে ফেরানোর পরের বলে তিনে নামা আব্দুল্লাহ শফিককে সাজঘরে পাঠান তিনি। শুন্য রানেই দুই উইকেট হারানো পাকিস্তানের রানের চাকা আর সচল হয়নি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে ইমাদ ওয়াসিম হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকলেও দলের স্কোর বড় হয়নি। তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫৭ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন অধিনায়ক শাদাব খান। ২৫ বলের ইনিংসে তিন বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তাতেই পাকিস্তান থামে ১৩০ রানে।
আফগানিস্তানের হয়ে ফজল হক ফারুকী ২টি, রশিদ খান, করিম জান্নাত ও নাভিন উল হক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post